স্বল্প মূলধনী কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধির দাপট কি আজও থাকবে,
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত চার কার্যদিবসের ব্যবধানে হাক্কানি পাল্পের শেয়ারের দাম ৯ টাকা বা সাড়ে ১৫ শতাংশ,
সমতা লেদারের দাম ১২ টাকা ৭০ পয়সা বা সাড়ে ১৬ শতাংশ, অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের দাম ৩০ টাকা বা ২৩ শতাংশ,
জিকিউ বলপেনের দাম ২৫ টাকা বা সাড়ে ২৩ শতাংশ, আজিজ পাইপসের দাম ১৫ টাকা ৬০ পয়সা বা ১৫ শতাংশ
, অ্যাটলাস বাংলাদেশের দাম ১৩ টাকা বা সোয়া ১২ শতাংশ, এমবি ফার্মার দাম ৭৬ টাকা বা ১৬ শতাংশ,
স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের দাম সাড়ে ১৯ টাকা বা ১২ শতাংশ ও বাংলাদেশ মনোস্পুলের দাম ৫০ টাকা বা সাড়ে ২২ শতাংশ বেড়েছে।
স্বল্প মূলধনী কোম্পানির মূল্যবৃদ্ধির দাপট কি আজও থাকবে
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, রোববার ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৫ পয়েন্ট বা প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। লেনদেন হওয়া ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৭৭টি বা ২০ শতাংশের দাম বেড়েছে। আর মূল্যবৃদ্ধি পাওয়া ২০ শতাংশ কোম্পানির মধ্যে বেশির ভাগই ছিল স্বল্প মূলধনি কোম্পানি।
বাজারের বড় এ পতনের মধ্যে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর এমন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বাজারে রয়েছে নানা ধরনের আলোচনা।কারসাজির জন্যও কারসাজিকারকেরা সব সময় স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকেই বেছে নেয়। এ কারণে বাজার খারাপ থাকলে এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে।
একাধিক ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অল্প কিছু শেয়ার কিনেই স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দামকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করা যায়। সেই তুলনায় বড় মূলধনি কোম্পানির শেয়ারের দাম প্রভাবিত করতে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ লাগে। এ কারণে বাজারে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম যখন পড়তে থাকে তখন ব্যক্তিশ্রেণির বড় বড় বিনিয়োগকারী এসব শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। আবার কারসাজির জন্যও কারসাজিকারকেরা সব সময় স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোকেই বেছে নেয়। এ কারণে বাজার খারাপ থাকলে এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে। আর দাম বাড়তে দেখলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও সেসব শেয়ারে বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
দ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সিরডাপের পরিচালক (গবেষণা) মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে যখন প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মিল ঘটে না, তখন সাধারণত বিনিয়োগকারীরা স্বল্প মূলধনি কোম্পানির প্রতি ঝোঁকেন। সাম্প্রতিক সময়ে বড় মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের কিছুটা মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছিল একধরনের প্রত্যাশা থেকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। ফলে ওই সব কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়তে শুরু করে। আর তাতেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ তৈরি হয় স্বল্প মূলধনি শেয়ারে। কখনো কখনো এ সুযোগকে কাজে লাগান কারসাজিকারীরা।
আরও জানতে ভিজিট করুনঃ barta24live.com