এমবাপ্পেকে রিয়ালে যেতে বলেছেন ইব্রা,
এমবাপ্পের সম্ভাব্য গন্তব্যের তালিকায় বার্সেলোনা থেকে শুরু করে লিভারপুল,
ম্যানচেস্টার সিটি—অনেক ক্লাবের নামই শোনা যাচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের নাম।
রিয়ালের প্রতি এমবাপ্পের নিজেরও খানিক দুর্বলতা আছে,
যে কারণে আগামী জুন থেকে এমবাপ্পে রিয়ালের সাদা জার্সি গায়ে দেবেন,
এমনটা অনুমান অনেকের। এই তালিকারই সর্বশেষ সংযোজন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ।
নামটা শুনে নড়েচড়ে বসতেই হয়; জ্লাতান যে রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব বার্সেলোনায় খেলে গেছেন একসময়!
তবে এখানেই গল্পের মোড়! ইন্টার মিলান থেকে পেপ গার্দিওলার টানে বার্সেলোনায় গেলেও কাতালানপাড়ায় এক বছরের বেশি টিকতে পারেননি ইব্রা। ওই এক বছরে গার্দিওলা থেকে শুরু করে লিওনেল মেসি, সবার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ করেছেন। পরে পাড়ি জমান এসি মিলানে। সেখান থেকে এমবাপ্পের বর্তমান ক্লাব পিএসজি ঘুরে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সিতে পাড়ি জমিয়েছেন। আবারও ইউরোপে ফিরেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, এসি মিলানের হয়ে খেলার জন্য। এত বছর পরেও বার্সেলোনার প্রতি তাঁর ক্ষোভ যে কমেনি, সেটা ইব্রাহিমোভিচের বিভিন্ন কথাতেই বোঝা যায়। এমবাপ্পেকে রিয়ালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পেছনে সেই ক্ষোভ কাজ করছে কি না, কে জানে!
হ্যাঁ, এমবাপ্পেকে বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালে যাওয়ার পরামর্শই দিয়েছেন ইব্রা। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লেকিপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমবাপ্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এমনটা বলেছেন এসি মিলানের স্ট্রাইকার, ‘শুধু কিলিয়ানই এই প্রশ্নের জবাব দিতে পারে। নির্ভর করে সে কী ভাবছে, সে কী চায়, তার ওপর। তবে এটা সত্যি কথা, ও একদিন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আর আমি ওকে বলেছিলাম, আমি তোমার জায়গায় থাকলে রিয়ালে যোগ দিতাম।’
ইব্রার মতে, খেলোয়াড় হিসেবে উন্নতি করার জন্য বিভিন্ন দেশে খেলার বিকল্প নেই, ‘আমি ভিন্ন ভিন্ন দেশের ভিন্ন ভিন্ন ক্লাবে খেলেছি। এভাবেই আমি অনেক কিছু শিখেছি, বড় হয়েছি। সারা জীবন ঘরের মাটিতে খেলা অনেক সহজ।’নিজেদের সাবেক খেলোয়াড়ের মুখ থেকে এমন কথা অবশ্যই সহ্য হবে না বার্সেলোনার সমর্থকদের
আরও জানতে ভিজিট করুনঃ barta24live.com